আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন এর পুত্র রকি আহমেদ এর সাথে গত ২০১৮ সালের মাঝামাঝি চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সিএন্ডবি পাড়ার শহিদুল ইসলাম এর কন্যা সোহেলী আক্তার বন্যা’র ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের রুকাইয়া জান্নাত রিশা(১৮মাস) এবং রুফাইদা জান্নাত তিশা(০২মাস) নামের দুইটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
ইতোপূর্বে সোহেলী আক্তার বন্যা’র মা-বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাইকে নগদ ৫০,০০০/-টাকা প্রদান করে। যৌতুকের টাকা পেয়ে কিছুদিন ভালভাবে কাটলেও পরবর্তীতে রকি আহমেদ আবার যৌতুকের জন্য অসহনীয় নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে গত ১১.০৬.২০২১ খ্রিঃ তারিখ বেলা ১২:০০ ঘটিকার সময় যৌতুকের দাবীতে ০২ মাস বয়সী দুগ্ধপোষ্য শিশু রুফাইদা জান্নাত তিশা কে আটকাইয়া রেখে সোহেলী আক্তার বন্যা কে মারধর করে পিত্রালয়ে তাড়াইয়া দেয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব না হওয়ায় সোহেলী আক্তার বন্যা’র মা পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চুয়াডাঙ্গা’র মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে ০২ মাস বয়সী দুগ্ধপোষ্য শিশু রুফাইদা জান্নাত তিশা কে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা কে নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে জনাব এএইচএম লুৎফুল কবীর, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে এসআই মুহিদ হাসান, এএসআই মোঃ রজিবুল হক, এএসআই সাদিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগীতায় ক্ষুদার যন্ত্রনায় কাতর দুগ্ধপোষ্য মুমূর্ষ শিশুটিকে উদ্ধার পূর্বক পুলিশ সুপার মহোদয়ের মধ্যস্থতায় তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।