নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাখাওয়াত আলী লালুর আজ শনিবার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
চট্টগ্রামের খুলশী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ সাখাওয়াত আলী লালুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিউকিশন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফসার উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, সাখাওয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর খুলশী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাখাওয়াত হোসেন লালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, সাখাওয়াত (৪০) ২০১২ সাল থেকে ভায়রাভাই আরিফ ও মামুনের অনুপ্রেরণায় জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। তাদের সংগঠনের নেতা মোয়াজ (চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া), মনসুরাবাদ এলাকার শফিক হুজুর, লালখান বাজার এলাকার এসির দোকানে কর্মচারী ওমর ফারুকদের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করেন।
জিহাদ প্রচারে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন সাখাওয়াত। পরবর্তীতে তিনি জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে তুরস্ক যান। তুরস্ক থেকে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়াতে প্রবেশ করেন। সেখানে ছয় মাস হায়াত তাহরির আরশামের কাছে ভা
সাখাওয়াত পরে সিরিয়া থেকে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্ক হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে শ্রীলঙ্কা যান। পরে আবার ইন্দোনেশিয়ায় ফিরেন। ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকালীন তিনি সেখানে জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেন বলে জানায় পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এ সময় তার কাছ থেকে নোটবুক, ট্যাব, মোবাইল ফোন ও জিহাদি কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। সাখাওয়াত দেশে উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে দাবি সংস্থাটির।
রী অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন। পরে সিরিয়ার ইদলিব এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন।