করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র যেখানে বাংলাদেশের প্রশংসা করছে সেখানে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোনো তথ্য কেউ দেখাতে পারবে? বরংচো অন্য অনেক খাতের কোটি টাকা কানাডায় চলে গেছে।শনিবার (১২ জুন) ভার্চুয়ালি আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, টিআইবি ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। অথচ করোনা শনাক্তে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।এর আগে গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরে সংস্থাটি।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সারাদেশে ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করায় ভারতের মতো পরিস্থিতি দেশে তৈরি হয়নি। বাংলাদেশে এখনও লকডাউন চলমান।মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারিনি বলে টিআইবি যে দাবি করছে এটা সঠিক নয়। গত বছর যেখানে তিন থেকে চারশোটি আইসিইউ ছিল, সেখানে এখন ১ হাজারের বেশি আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তার ব্যবহার করা হয়নি। অথচ আমরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। এমন মিথ্যাচার আমরা গ্রহণ করি না।স্বাস্থ্য খাতে যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অধিদপ্তরের গাড়িচালক থেকে শুরু করে যারা অন্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া রিপোর্টের দেওয়ায় সাবরিনা এবং সাহিদদের গ্রেপ্তার করে আদালতে দেওয়া হয়েছে।