মোংলায় করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে দুজন মারা গেছেন।মৃত দুজন হলেন- রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ফুলপুকুর পাড়ের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তহুরুননেছা খুকি (৪২) ও মোংলার মালগাজী গ্রামের নুর আলমের ছেলে ইব্রাহিম (১৬)।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) দেবব্রত সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এছাড়া গত রাতে করোনা নিয়ে মারা গেছে নতুন কবরস্থান এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে আসলাম (৪২) ও মাছমারা এলাকার খালেক (৬০)।এর আগে বুধবারও জয়মনি এলাকা থেকে করোনা পরীক্ষা করাতে এসে হাসপাতালে মারা যান আম্বিয়া বেগম নামের এক নারী। মারা যাওয়া সকলেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন।এদিকে গত ৩০ মে থেকে দুই দফায় দেওয়া করোনা বিধিনিষেধে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে আগামী বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও কঠোরতর করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।নতুন করে জারি করা বিধিনিষেধে নদী পারাপার, যান চলাচল, দোকানপাট, পশুর হাট বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে।তবে ভোর থেকে তা মানতে দেখা যায়নি। নদী পারাপার ও যান চলাচল করছে, রয়েছে লোকসমাগমও। খোলা রয়েছে দোকানপাটও।নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি, কাঁচা, মাছ ও মাংসের দোকান খোলাস্থানে নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা রয়েছে আগের জায়গাতেই। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই।পৌর শহরের প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশ ও আনসার থাকলেও সেখান থেকে হরহামেশা বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছে।স্থায়ী বন্দর এলাকায়ও বাসসহ বিভিন্ন যান চলাচল ও লোকসমাগমও বেশি দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ভারতগামী নৌযানের স্টাফরা শহরে নেমে ঘোরাফেরা করছেন।গাদাগাদি করে নদী পারাপার ও নৌযানের স্টাফদের অবাধ চলাচলের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এমন পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ।জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালালেও লোকজন ও দোকানিরা এক প্রকার লুকোচুরি খেলা করছে।