ব্রিটেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) ২০২১ সালের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। অর্থাৎ, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ।
সর্বশেষ ঘোষিত তালিকার চেয়ে এবছর ৩৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট নিয়ে একধাপ এগিয়েছে ঢাকা। ২০১৯ সালের তালিকায় ১৩৮ নম্বরে থাকলেও এবার ঢাকা রয়েছে ১৩৭ নম্বরে। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা ছিলো এই তালিকার ১৩৯তম শহর।স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থিতিশীলতায় ৫৫ পয়েন্ট পেয়েছে ঢাকা। স্বাস্থ্যসেবায় ১৬ দশমিক ৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০ দশমিক ৮, শিক্ষায় ৩৩ দশমিক ৩ এবং অবকাঠামোতে পেয়েছে ২৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট।করোনা মহামারির কারণে লকডাউন থাকা শহরের তথ্য সংগ্রহ করতে না পারায় ২০২০ সালের তালিকা করার কাজ বাতিল করে ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।করোনা মহামারির কারণে এই তালিকায় এসেছে বেশ পরিবর্তন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েনাকে টপকে এবার বসবাস যোগ্য শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে নিউ জিল্যান্ডের শহর অকল্যান্ড। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে তালিকায় শীর্ষে থাকা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা এবার শীর্ষ দশ থেকেই ছিটকে গেছে। করোনায় ভুগতে থাকা শহরটির অবস্থান এবার ১২তম।ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, অকল্যান্ড শীর্ষে উঠে এসেছে কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য। যেভাবে চটজলদি ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা করে দেশের প্রশাসন এতদিন নাগরিক জীবন সচল রেখেছে, তাতে তাদের স্কোর অনেকটাই বেড়েছে।
শীর্ষ ১০-এ থাকা শহরগুলো হলো- অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ড), ওসাকা (জাপান), অ্যাডিলেড (অস্ট্রেলিয়া), ওয়েলিংটন (নিউজিল্যান্ড), টোকিও (জাপান), পার্থ (অস্ট্রেলিয়া), জুরিখ (সুইজারল্যান্ড) জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া) এবং ব্রিসবেন (অস্ট্রেলিয়া)। দেখো গেছে, শীর্ষ ১০-এ থাকা ১০টি শহর মূলত পাঁচটি দেশের।শেষদিক থেকে শীর্ষে ১০ টি শহর হলো- সিরিয়ার দামেস্ক (১৪০তম), নাইজেরিয়ার লেগোস (১৩৯তম), পিএনজির পোর্ট মরেসবি (১৩৮তম), বাংলাদেশের ঢাকা (১৩৭তম), আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (১৩৬তম), লিবিয়ার ত্রিপলি (১৩৫তম), পাকিস্তানের করাচি (১৩৪তম), জিম্বাবুয়ের হারারে (১৩৩তম), ক্যামেরুনের দোআলা (১৩২তম) এবং ভেনেজুয়েলার কারাকাস (১৩১তম)।
বিভি/এসডি