বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্রের বিকাশে বিএনপি কী ভূমিকা রেখেছে জাতি তা জানতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সর্বশেষ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে সরকার রাজপথে সমুচিত জবাব দেবে বলে বিএনপিকে আবারও হুঁশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৯ জুন) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিএনপি নেতাদের এমন নির্লজ্জ বক্তব্য শুনলে জনগণ হাসে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো।’
১৯৭৮ সালে সামরিক উর্দি পরে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে সরিয়ে কে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলো, বিএনপি নেতাদের তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি’র গণতন্ত্র ছিলো কারফিউ গণতন্ত্র। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন কোন গণতন্ত্র?বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দলীয় লোক কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়েছিলো বিএনপি, সেই কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের জানান, সেই পরিস্থিতিই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির মূল কারণ।২০০৬ সালে এক কোটি ২৫ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারতে চেয়েছিলো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি’র বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা। ক্ষমতায় যেতে ফখরুল সাহেবরা রঙিন চশমার ফাঁক দিয়ে রঙিন খোয়াব দেখছেন। ওবায়দুল কাদের আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি কি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়? তারা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।সংবিধান সম্মতভাবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো যথাসময়ে নির্বাচন হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।