ভরা বোরো মৌসুমেও কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে সব ধরনের চালের কেজিতে ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ধান ও চাল মজুদ করায় বাজারে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এসব মজুদদারদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের। দেশের অন্যতম বড় চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর। ভরা মৌসুমেও এখানে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। মানভেদে কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা পর্যন্ত। মাস খানেক আগে কমলেও হঠাৎ আবারো দাম বাড়লো। মিল মালিক বলেন, ধানই তো নাই বাজারে, বেশিরভাগ কৃষক ধান মজুত রাখায় এবং ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, কৃষকরা আর ১৩শ’ টাকার নিচে আর ধান বিক্রি করতে চাচ্ছে না। যদিও এখন বাজার ১২শ’ থেকে ১২শ’ ৫০ টাকা। এবারের মৌসুম অন্য বারের চাইতে ব্যতিক্রম। গত বছরও এ সময়ে ধান ও চালের দাম কম ছিল। লাইসেন্স ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুদ করায় সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানায় চালকল মালিক সমিতি। চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, যাদের ধান চাল সংগ্রহের লাইসেন্স আছে, তারাই যেন ধান চাল সংগ্রহ করতে পারে এই আমরা চাই। দেশের সিংহভাগ চাল সরবরাহ করা হয় কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকাম থেকে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক চাল যায় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়।