অঙ্গীকার ডেস্কঃ চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা হাতে ধরাশায়ী হলেন ময়মনসিংহের শেখ সেলিম আহম্মেদ রাজু (৩৮)।শেখ সেলিম আহম্মেদ রাজু ময়মনসিংহের আটকোয়া মাদ্রাসাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। সে তিন মাস ধরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ মোড়ে একটি বাসা ভাড়া করে থাকতো। সোমবার (৭ জুন ২০২১) সকলে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশে সোপর্দ করার আগে রাজু তার প্রতারণার কথা শিকার করেন। শেখ সেলিম আহম্মেদ রাজু জানান, তিনি পিডিবিতে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৭ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা এ পর্যন্ত নিয়েছে। তিনি শিকার করেন তার চাকরি দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই। যে টাকা নিয়েছি তার কিছু টাকা (হরিপুর) এলাকার মানুষের মাঝে খরচ করেছি। বোয়ালদহ গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে চাঁদ জানান, আমার জামাইটা বেকার। তার একটি চাকরির জন্য শেখ সেলিম আহম্মেদ রাজুর কাছে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। সে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে বলেছিলেন। এছাড়াও আমার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা দোকানে বাকি করেছে। থানায় আমাকে ডেকেছে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নেতাদের সাথে থানায় যাব। এলাকাবাসী জানায়, শেখ সেলিম আহম্মেদ রাজু নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরি করে তার নিকট আত্মীয় পরিচয় দিত। সে তার মাধ্যমে চাকরী দেবে বলে এই টাকা হাতিয়ে নেয়। মাঝে মাঝে দামি গাড়ি গাড়ি আসত তার ভাড়া বাড়িতে। চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী তাকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে। এলাকাবাসী আরো জানান, তিনি বল দাও রাজকীয় স্টাইলে থাকতেন। মাঝেমধ্যেই খাসি জবাই করে এলাকার মানুষদের খাওয়াতেন। তার এই রাজকীয় স্টাইলে থাকা দেখেই এলাকার মানুষ তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, হাটশ হরিপুরের জনতা তাকে আটক করে রেখেছিল। তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।