কুষ্টিয়া জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাজমুল হোসেনের নামে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করায় খোকসায় দুই শিক্ষকের নামে প্রথমে অভিযোগ পরে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। খোকসা অনলাইন প্রেসক্লাব নামক একটি বহিস্কৃত সংগঠনের নাম ভাংগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে কতিপয় পুলক কুমার সরকার ও মতিয়ার রহমান নামে দুই স্কুল শিক্ষক। এজাহারে বলা হয়েছে, ১নং আসামী, পুলক কুমার সরকার, পিতা: নিতাই পদো প্রামাণিক, ডাকবাংলো রোড, মাস্টারপাড়া, খোকসা, কুষ্টিয়া। তিনি কুশলীবাসা হাই স্কুল, কুমারখালী‘র সহকারী শিক্ষক। ২নং আসামী, মতিয়ার রহমান, পিতা: মৃত মোতালেব মন্ডল, সাং- ওসমানপুর, খোকসা, কুষ্টিয়া। তিনি ওসমানপুর হাই স্কুল, খোকসা‘র প্রধান শিক্ষক। দু‘জন মিলে যোকসাঁজসে Pulok Kumar Sarker নামক আইডি থেকে ও খোকসা অনলাইন প্রেসক্লাব নামক ফেসবুক একাউন্ট খুলে শেখ নাজমুল হোসেনের আইন বহির্ভুত পোস্ট দিচ্ছে। বিষয়টি তাদের বারবার জানানো হলেও কোন প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে আইন তাদের কিছুই করতে পারবেনা বলে আখ্যায়িত করছে। এই বিষয়ে গত ৩১-০৫-২০২১ইং তারিখে খোকসা থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে তাদের বলা হলেও বন্ধ না করে দিনের পর দিন আইন বহির্ভুত পোষ্ট ও কমেন করে আসছেন তাঁরা। আসামীরা অন্যায়ভাবে উক্ত আইডি থেকে বাদী শেখ মোঃ নাজমুল হোসেন কে ধর্ষণ মামলার আসামী বলে বারবার আখ্যায়িত করে ডিজিটাল নিরাপত্বা আইন অমান্ন করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেই সাথে সুকৌশলী হয়ে বিভিন্ন ফেসবুক স্ট্যাটাস ও কমেন্ট বক্সে আরোও উল্লেখ করেন কুষ্টিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতিক আব্দুল আলীম এর হত্যাকারী ও হত্যার দায়ে দীর্ঘদিন জেলখাটা আসামী বলে আখ্যায়িত করে মিথ্যা অপপ্রোচার চালিয়ে আসছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার কথা বলা হলেও তারা উল্লেক করছে “কই কি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন জানালেন না তো ?” এভাবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে আইন নিয়ে তামাশায় মেতে উঠেছিলেন তারা। এই বিষয়ে খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজবা উদ্দিনের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান, এমন একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য খোকসা থানাকে অবগত করবো। এই বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, খোকসা থানায় আইন অমান্যকারীর কোন ছাড় নেই সে যেই হোক না কেনো। বিষয়টি দুঃখজনক এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ধরে এনে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।