নেতৃত্ব একটি সামাজিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সর্বজনীন কোন কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা ও সমর্থন লাভ করা। নেতৃত্ব হল সামাজিক উন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে নিজের অবদান রাখা।
জয়-পরাজয় জীবনের একটি অংশ। অর্জনে মাত্রাতিরিক্ত গর্ব কিংবা হারানোতে মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট অনুভব না করে, ক্ষমাশীলতার পাশা-পাশি ধৈর্যশীল হতে হবে।
নেতাকে (গুরু) হতে হবে নীতিবান আর থাকতে হবে বিচক্ষণতা। অসৎ আর চাটুকারিতা নয় বরং বিশ্বাসী হতে হবে স্পষ্টবাদীতে। নিজের সহজাতবোধকে প্রাধান্য দিয়ে বাকপটুকতার মধ্য দিয়ে গুজব এড়িয়ে চলতে হবে।
কার্যকারী যোগাযোগ, আত্ম-সচেতনতা আর সাহসী স্বদিচ্ছার মাধ্যমে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা প্রমাণ করতে হবে। হতে হবে আত্ম-সমালোচক, নিরহঙ্কা আর উদার। লক্ষ্যে স্থির থেকে বিশ্বাসী মনোভাব দিয়ে নিজের যোগ্যতা আর সহজগম্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে। সঠিক ধারণার মাধ্যমে উদ্দেশ্য সম্পাদন করতে হবে।
জীবন সাজাতে, কিছু জানতে আর শিখতে, কিছু বুঝতে আর করতে, সঠিক নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই যাকে আদর্শ (গুরু) মনে করবে তার মধ্যে ঐ গুণগুলো বিদ্যমান থাকলে কখনোই ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না। সঠিক নেতৃত্বই (গুরুই) পারে যোগ্য কর্মী (শিষ্য) তৈরি করে সমাজকে নতুন করে সাজাতে।