“কুমারখালীতে জাল জমি রেজিষ্ট্রি করতে গিয়ে সাব-রেজিষ্টারের কাছে ধরা খেলেন দলিল লেখক”
কুমারখালী প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সাব-রেজিষ্টার অফিসে জমি রেজিষ্ট্রেশন চলাকালে গোবিন্দলাল ঘোষ ও অর্চনা রাণী ঘোষ দাতা হয়ে রাধাগ্রাম মৌজার ১৬ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করতে যায় গ্রহীতাকে।এ সময় দাতার কাছে জমির খাজনার দাখিলা ও মিউটিশন পর্চা না থাকায় মহুরী আশরাফুল আলম পান্না (সনদ নং ৬৯) নিজ দায়িত্বে সব কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়ার কথা বলে।নিজের পেশাগত স্বার্থের কারণে জাল কাগজপত্র তৈরি করে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য কুমারখালী সাব-রেজিষ্টারের কাছে উত্থাপন করলে কুমারখালীর সাব-রেজিস্ট্রার মকছু মিয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে জমি রেজিস্ট্রেশন এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।এ বিষয়ে কুমারখালীর সাব রেজিস্ট্রার মকছু মিয়ার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি যে এই জমির খাজনার দাখিলা ও মিউট্রিশন পর্চা জাল করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে অফিস টাইমে কুমারখালী সহকারী কমিশনার ভূমি নিকট কাগজপত্র জাল কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য চিঠি করব। এবিষয়ে মহুরী আশরাফুল পান্না বলেন, সাব রেজিস্টার অহেতুক আটকে দিয়েছে।বিষয়টি আসলে কিছুই নয়, কার্বনে ভুলের কারনে মেয়াদ এলোমেলো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নতুন করে পুনরায় দাখিলা কেটেছি।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না তাসনীম মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি মৌখিক শুনেছি, তবে লিখিত পাইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব নুরুজ্জামান জানান, এই জমির দাখিলা আমি গত বছর কেটে ছিলাম কিন্তু এ বছরে আমার কাছ থেকে আজকে পহেলা জুন নতুন করে দাখিলা কাটেন।তবে ৩১ মে এই জমির দাখিলা মুহুরী আশরাফুল আলম কিভাবে দিল তা আমি জানিনা।