কুষ্টিয়া শহরের শোভাবর্ধণকারী ৬২ লাখ টাকার লাইট ছয় মাসেই অকেজো!
কুষ্টিয়া অফিস // নিজস্ব প্রতিনিধি
/ ১৫০
বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম :
সোমবার, ৩১ মে, ২০২১, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন
কুষ্টিয়া শহরের শোভাবর্ধণকারী লাইট ছয় মাসেই অকেজো হয়েছে। এতে রাতে অন্ধকারে শহরে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। পৌরসভার উদ্যোগে শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে এন এস রোডে লাগানো হয়েছে ২৮৫ টি রাজকীয় লাইট।গত ডিসেম্বর মাসে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট থেকে বড় বাজার পর্যন্ত সড়কের ডিভাইডারের মাঝে লাগানো হয় রাজকীয় লাইটগুলো। বেসরকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘নেশন টেক’ সিডিউলের মাধ্যমে প্যাকেজ আকারে রাস্তার ড্রেন ও রাজকীয় লাইট বাবদ ২১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার কাজ পায়। যার মধ্যে রাজকীয় লাইট বাবদ ব্যয় দেখানো হয় ৬৯ লাখ ৮২ হাজার ৫০০শত টাকা। হিসাব অনুসারে প্রতিটি লাইটের পেছনে ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। লাইটগুলো লাগানোতে বেড়েছে শহরের সৌন্দর্য্য ও যৌলসতা। রাতের আধারে রাজকীয় লাইটের আলোয় ঝলমলে শহর। কিন্তু ৬ মাস না পেরোতেই প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো লাইটগুলো সবই বন্ধ। গত ১০ দিন যাবৎ লাইটগুলো বন্ধ থাকলেও জ্বালানোর উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। জনসাধারন মধ্যে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা বলছেন, এতো টাকা ব্যয়ে শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে লাগানো লাইটগুলো বন্ধ থাকলে কি দরকার ছিল লাগানো! অনেকেই আবার পৌর কর্তৃপক্ষকে লাইটগুলো দ্রুত জ্বালানোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও করেছেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, মাটির নীচে পাইপের ভিতরে পানি ঢুকে তারের জয়েন্টে শর্টসার্কিটের ফলে কিছু লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এ কারনেই সব লাইটগুলোই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুম না যাওয়া পর্যন্ত লাইটগুলো বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘নেশন টেক’ এর প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।