কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় আজিম হোসেন (২৭) নামের জাসদ ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে কফিবার নামে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।আজিম হোসেন মোকারিমপুর ইউনিয়নের নতুনহাট গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) মোকারিমপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা কমিটির সহসভাপতি।গুরুতর আহত আজিমকে প্রথমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা আর্ণিকা মুশতারী প্রথম আলোকে বলেন, আহতের হাতে পায়ে ও শরীরের কয়েক জায়গায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।আহত আজিমের চাচা সুমন আলী বলেন, আজিম জাসদ ছাত্রলীগের মোকারিমপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। তিনি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনের কফিবার দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় রাব্বি ও খোকন নামের দুজন কয়েকজন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে যান। তাঁরা আজিমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে চলে যান।
আজিম হোসেনের দুই হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রামদার আঘাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেন।
স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত আজিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আজিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর দুই হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রামদার আঘাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেন।ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, হামলার ঘটনা শোনামাত্রই তিনিসহ পুলিশ ফোর্স সেখানে যায়। ঘটনার পর হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে গেছেন। সেখানে স্থানীয় লোকজন মারফত দুজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করা গেছে। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম রাব্বি হোসেন। খুব শিগগিরই এ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। থানায় লিখিত এজাহার জমা নেওয়া হচ্ছে।