ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর তার প্রভাব কেটে যাওয়ায় আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। বিহার ও উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।আগামীকাল রোববার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাঙ্গামাটি, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, রংপুর, খুলনা ও যশোর জেলাসহ সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, বিহার ও উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী মঙ্গলবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শনিবার (২৯ মে) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটিতে, ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়ায় ২০ মিলিমিটার।